বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর 

 বর্তমান এই ডিজিটাল যুগে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি নিয়ে ছোট বড় সব বয়সের মানুষের মধ্যে জানার আগ্রহ অনেক বেশি বেড়ে গেছে।আর বর্তমান সময়ে আস্তে আস্তে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা ও অনেক বেড়ে যাচ্ছে।ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।যুব সমাজের মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।সবচেয়ে বেশি এই সেক্টরে কাজ করছে যুব সমাজ।তবে কোন সেক্টরে ফ্রিল্যান্সিং করাটা বেশি ডিমান্ডেবল তা আমাদের জানা অনেক বেশি জরুরী।

আসুন আমরা আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব ফ্রিল্যান্সিং এ সব চেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?এটির চাহিদা কেমন এবং এই সেক্টরে কিভাবে সফলতা অর্জন করা যায়।


বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি?

প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা দিন দিন অনেক বেড়ে গেছে।মানুষ ঘরে বসে প্রতিনিয়ত তাদের পছন্দের কাজ বেছে নিয়ে আয় করছে।ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য বেকারত্ব ও অনেক কমে গেছে।যুব সমাজ নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরী করছে এবং তারা উদ্যোক্তা হয়ে অন্য বেকারদের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।  

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং,ওয়েব ডেভেলপমেন্ট,ভিডিও এডিটিং,কন্টেন্ট রাইটিং,গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টরে পরিণত হয়েছে।

পেজ সূচিপত্র:

ডিজিটাল মার্কেটিং:

বর্তমান যুগ হলো ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ।এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে কেনা বেচা থেকে শুরু অনলাইনে ইনকাম করা যায়।ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে বুঝায় অনলাইনে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করা।এখন এই বিজ্ঞাপন প্রচার ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে হতে পারে আাবার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হতে পারে বা SEO এর মাধ্যমে হতে পারে।

এছাড়া টিভি,রেডিও,ইলেক্ট্রনিক বিলবোর্ড,মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকেও ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।চলুন এখন জেনে নিই ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধাপ সমূহ গুলো:

  • ইমেইল মার্কটিং।
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং
  • সিপিএ মার্কেটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • SEO
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি 

বর্তমান সময় এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ।এখন মানুষ কোন কিছু কেনার আগে সেই পণ্যটি সম্পর্কে ইন্টারনেট থেকে জেনে নেয়।তাছাড়াও মানুষ এখন ইন্টারনেট থেকে পণ্য কিনতে বেশি পছন্দ করে।দোকানে দোকানে ঘুরে পণ্য কেনার সময় এখন আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে।সব কিছু এখন ডিজিটাল মার্কেটিং নির্ভর হয়ে গেছে।ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম এখন সহজ হয়ে গেছে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট:

কোনো একটি ওয়েবসাইটকে তৈরী করা থেকে শুরু করে এটিকে ইন্টারনেটে লাইভ করা পর্যন্তু এই ওয়েবসাইটে যে কাজ গুলো করা হয় এই কাজ গুলোকে এক সাথে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলা হয়।যে ব্যক্তি এই ওয়েবসাইট গুলো তৈরি করে তাকে ওয়েব ডেভেলপার বলে।ওয়েবসাইট বিক্রি করে এখন ঘরে বসে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।

ভিডিও এডিটিং:

মোবাইল বা ক্যামেরা দ্বারা ধারণ করা ভিডিও কে যেকোনো ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ভিডিওটিকে এডিট মডিফাই করে দর্শকদের সামনে সুন্দর ও মার্জিত ভাবে পেশ করাকে ভিডিও এডিটিং বলে।ভিডিও এডিটিং বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় পেশা।যিনি ভিডিও এডিটিং করে তাকে ভিডিও এডিটর বলে।একজন ভিডিও এডিটরকে ক্রিয়েটিভ হতে হয়।তাহলে সে প্রফেশনাল ভাবে ভিডিও এডিটর হতে পারবে এবং ঘরে বসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবে।

একজন ভিডিও এডিটরকে ধৈর্যশীল হতে হবে।বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে হবে।স্কিপ্ট সম্পর্কে জানতে হবে।তাকে প্রোজেক্ট তৈরি করে হবে।এডিটিং এর সিক্রেট গুলো জানতে হবে এবং বিভিন্ন ইফেক্ট গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।তাহলে সে ঘরে বসে মাসে লক্ষাধিক টাকা ইনকাম করতে পারবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন:

গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে কোনো কিছুকে রং,রেখা ও বিভিন্ন আাকার,আকৃতি দিয়ে মানুষের সামনে সৃজনশীলতাকে ফুটিয়ে তোলা।সকল প্রকার বিলবোর্ড,ব্যানার,পোষ্টার,লোগো,সোশ্যাল মিডিয়ায় কভার ফটো ইত্যাদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়।বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা পুরো বিশ্বে অনেক বেশি।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

কুইক ইনফো এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url